এসময় সরকারী নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে সিএনজি স্ট্যান্ড ইজারাদানকারী মূল হোতা পৌর সচিব মো. ফখরুল ইসলামের অপসারনের দাবীও তুলেন বিক্ষোভরত সিএনজি-ইজিবাইক চালকরা।
রোববার দুপুরে ইজিবাইক-অটোরিকশা চালক ও শ্রমিক নেতারা উপজেলার মুক্তিযুদ্ধা চত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, দেবীদ্বার পৌরসভার নিজস্ব কোনো পার্কিং ব্যবস্থা না থাকলেও তারা গাড়ি পার্কিংয়ের ইজারা দেয়। ইজারার নামে তারা রাস্তার ওপর চলন্ত গাড়ি থামিয়ে প্রতিটি ইজিবাইক ও অটোরিকশা থেকে জোরপূর্বক ৪০-৫০ টাকা করে আদায় করছে যা সরাসরি চাঁদাবাজির মধ্যে পড়ে। তারা এ অবৈধ ইজারা বাতিলেরও দাবি জানিয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দেন।
শ্রমিক নেতা সিএনজি চালক মো. আবদুল রশিদ, মো. আবুল কালাম ও আলী হোসেন জানান, বর্তমানে ইজিবাইক ও অটোরিকশা চালকরা খুব দুঃখ-কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছেন। সারা দিনে যে আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে। কিন্তু উপজেলার সদরে প্রবেশ করলেই তাদের প্রতিটি গাড়ি থেকে ৪০-৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তারা সঙ্ঘবদ্ধ চক্র চালকদের মারধর করছে। তিনি আরো জানান, তারা প্রশাসনের সাথে একাধিক মিটিং করে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে চাঁদা আদায়কারীরা।
এ বিষয়ে পৌরসচিব মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাকে অভিযুক্ত করবে কেন ? পৌর প্রশাসকের স্বাক্ষরে ইজারা দেয়া হয়েছে। হাইওয়ে সড়কে আগের নিয়মেই ইজারা দেয়া হয়েছে। হাইওয়ে সড়কের পান্নারপুল-বাখরাবাদ স্ট্যান্ড তালিকায় থাকলেও তা ইজারা দেয়া হয়নি। ওখানে টোলের নামে চাঁদা তোলার অভিযোগ পেয়ে বাজার পরিদর্শক আলমগীর হোসেনকে তা বন্ধ করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমলকৃষ্ণ ধর বলেন, ইজারাদার নিয়ম বহির্ভূতভাবে টোল বা চাঁদা আদায় করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই ইজারা বাতিল করতে পারেন। নতুন করে ইজারা প্রদানের বিষয় আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। ইজারা প্রদান করলে চালক, ইজারাদার, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে করা প্রয়োজন ছিল। টোল আদায়ের পরিমান নিয়ে চালকদের সাথে মতবিনিময় এবং সিদ্ধান্তগুলো মাইকিং করে জানিয়ে দিলে চালকরা বিক্ষোভ- প্রতিবাদ, সড়ক অবরোধ করার সুযোগ পেতনা।
ইজারাদারও টোলের নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের সুযোগ পেতনা। পৌর সভা কর্মকর্তাদের খামখেয়ালীর দায়ভার বর্তাচ্ছে আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনীর উপর।
দেবীদ্বার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্ত্তী কর্মস্থলে না থাকায় এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন