কুমিল্লা শহরতলীর চৌয়ারা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার দুই পাশে সারি সারি গাছ কেটে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। বাকি যেগুলো আছে সেগুলো কাটার জন্যও শ্রমিক ও ঠিকাদার অপেক্ষা করছেন। সেখানে উপস্থিত ঠিকাদার জসিম আহমেদ জানান, সড়ক বিভাগের গাছ কাটতে বন বিভাগের অনুমতি লাগে না। অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হচ্ছে।
বিষয়টি উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, এটা মেনে নেয়া যায় না। পরীক্ষামূলক সড়ক নির্মাণের জন্য এই ঐতিহাসিক সড়কের এত পুরোনো গাছ কাটা হবে কেন? আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ঢাকা থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি গবেষণার জন্য এই রাস্তাটিকে বাছাই করা হয়েছে।
গাছ কাটার জন্য সামাজিক বন বিভাগের অনুমোদন আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়ম মতো অনুমোদন নিয়ে নিলামের মাধ্যমে এই গাছ কাটা হচ্ছে।
বন বিভাগ কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও কেনো গাছ কাটা হচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এই বিষয়ে একটি বৈঠক হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন