৭৫ বছর বয়সী অভিভাবকহীন বৃদ্ধের পাশে ‘কফি হাউজ’র বন্ধুরা

 

বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখে সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত মানষিক প্রতিবন্ধি মনেক্কা (মমতাজ) বেগম (৭৫)’র পাশে দাড়ালেন ‘কফি হাউজ’র বন্ধু সমাজ।

শনিবার দুপুরে ‘কফি হাউজ’র বন্ধু সমাজ’র একটি দল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলায় পুরুষ ওয়ার্ডের ১২নং বেডে চিকিৎসাধীন মনেক্কা বেগমকে দেখতে যান। এসময় টিম প্রধান গোলাম রাব্বী প্লাবন রোগীর চিকিৎসা সেবায় নগদ কিছু টাকা হযোগীতা করেন। এসময় গোলাম রাব্বী প্লাবন বলেন, তার স্বজনদের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত এমনকি পরবর্তী সময় যে কোন সহযোগীতায় কফি হাউজ’র বন্ধু সমাজ মনেক্কা বেগমের পাশে থাকবেন বলেও আশ্বাস দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মঞ্জুর হোসেন, ষ্টাফ নার্স সুপারভাইজর জিনাত আরা আক্তার, ‘দেবীদ্বার দরিদ্র রোগী কল্যাণ সমিতি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ও অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য গত ২০ জুলাই রাত সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মীরপুর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্নে একটি দ্রæতগামী মোটর সাইকেলের ধাক্কায় ওই মহিলার পা’ ভেঙ্গে সড়কে পড়েছিলেন। ওখান থেকে একজন পুলিশ সদস্যের অনুরোধে একজন সিএনজি চালক তাকে উদ্ধার করে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে যান। দূর্ঘটনায় কবলিত হওয়ার ১১ দিনেও তার স্বজনদের খোঁজ পাওয়া যািয়নি। ভাঙ্গা পা’য়ের সন্ত্রনায় এখনো তিনি কাতরাচ্ছেন। এছাড়াও পেটে ব্যথা ও উনার শরীরে স্কিন ইনফেকশন রয়েছে। 

মানষিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় কথাবার্তায় অসংগøতা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞাসাবদে জানা যায়, তার নাম মনেক্কা(মমতাজ) বেগম, পিতা আমজাদ খান, ঢাকা মীরপুরের ১২ নম্বর এলাকায় বাসা। স্বামী-সন্তান নাই। তার ৬ বোন রেখা, শান্তা, করুনা, অরুনা, নিলু, মনেক্কা এবং ২ ভাই পনির, মামুন রয়েছেন। ২ ভাই উকিল, কোর্টে চাকরি করেন। তিনি কিভাবে এখানে আসলেন সে সম্পর্কে বলেন ঢাকা থেকে হাটতে হাটতে এখানকার গোমতী নদীর পাড়ে ঘুরতে এসেছি।

এ আগে মনেক্কা বেগমের চিকিৎসা ও দেখভালের বিষয়ে ‘দেবীদ্বার দরিদ্র রোগী কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহমেদ কবির, সদস্য সচিব উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য এবিএম আতিকুর রহমান বাশার’র আলোচনায় ওই বে-ওয়ারিশ রোগীর চিকিৎসা সহায়তায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাহিরে যাবতীয় চিকিৎসা খরচ ‘দরিদ্র রোগী কল্যাণ সমিতি’র পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এব্যপারে কোন মানবিক সংস্থা বা সংগঠন, কিংবা ব্যাক্তি পর্যায়ে সহযোগীতার হাত বাড়ালে তাদের সহযোগীতাও সাদরে গ্রহন করা হবে।

এব্যপারে শনিবার দুপুরে ‘দেবীদ্বার দরিদ্র রোগী কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহমেদ কবির সেল ফোনে জানান, যারা আজ ওই অসহায় নারীর সহযোগীতায় পাশে দাড়িয়েছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাই।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন