আপনি প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন? খুব আনন্দে ভাসবার মতো কিছু হয়নি। কিন্তু হতে পারে, যদি এই অর্জনটা ধরে রাখতে পারেন শেষ পর্যন্তএবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারেন। আপনি শুধুমাত্র পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাই বলবো যাঁরা আসল পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্লিজ একটা মিনিটও সময় অপচয় করবেন না। আমার মতে আপনি যদি প্রশ্ন ব্যাংক বা জব সলিউশন পড়ে পাশ না করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া কঠিন কিছু নয়। কিন্তু ভাল নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়াটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমি আগেও বলেছি লিখিত পরীক্ষায় ৫০% পরিশ্রম এবং ৫০% কৌশল। আমার নিজের চারটি লিখিত পরীক্ষার অভিজ্ঞতা থেকে এমনটাই মনে হয়েছে। তবে সবার কৌশল এক হবে না বা সব কৌশল সবার জন্য কাজ করে না। আমার কাছে অনেকেই ইনবক্সে লিখিত পরীক্ষার জন্য দিক নির্দেশনা বা গাইডলাইন চাইছেন। আমার পক্ষে সময় বের করা আসলেই বেশ কঠিন কিন্তু মন চায় আপনাদের পাশে থাকতে। যদি কিছুটা উপকারে আসতে পারি সেটা একটা ভিন্ন ভালোলাগার অনুভূতির সৃষ্টি করে নিজের ভেতর। লিখিত পরীক্ষার জন্য তাই ছোট্ট একটা প্লাটফর্ম করতে চাই। সেটা হতে পারে ম্যাসেনজার গ্রুপ। কিন্তু সারাদিন সেখানে টুনটুন করা যাবে না। সেটাও বেশ বিরক্তিকর। আর আপনাদের প্রতিটা মুহূর্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ। অথবা এখানেও হতে পারে। তবে সবারতো সেটার দরকার নেই। লিখিত পরীক্ষা কবে হতে পারে প্লিজ এই প্রশ্ন করবেন না। আমার পোস্টিং পিএসসিতে নয়। তবে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আনুমানিক তিন/চার মাস মতো সময় পাওয়া যায় এটা আপনারাও জানেন। তাই সময় কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বুঝতেই পারছেন। আমি আমার প্রথম বিসিএস এর জন্য থিসিস ড্রপ দিয়েছিলাম। আর আপনাদেরতো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ই বন্ধ। তাই এক মুহূর্ত নষ্ট নয়। মাথায় রাখুন ৫০% নম্বর পেয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আর ৬৫% নম্বর পাওয়া এক কথা নয়। আপনার সেরা প্রাপ্তির জন্য সেরা পরিশ্রমটাই করতে হবে। ৫০% নম্বর পাবে হয়তো ১৩/১৪ হাজার জন কিন্তু ৬৫% নম্বর ২০০ জনও পাবে কিনা বলা মুশকিল। তাই নিজেকে ধারালো করুন প্রতিদিন। এবার আপনার মূল পরীক্ষা। আপনার স্ট্রং সাবজেক্ট আপনাকে এগিয়ে রাখবে। আমাকে এগিয়ে রেখেছিলো গণিত ও মানসিক দক্ষতা (৯৬) এবং আন্তর্জাতিক (৭৭) বাকি সব সাবজেক্টে বলবো গতানুগতিক নম্বর পেয়েছিলাম। অনেক বেশি হয়তো বলে ফেললাম। তবে যুদ্ধ শুরু করুন, পরিকল্পনা করে নিজেকে প্রতিদিন এগিয়ে নিন। এমনও তো হতে পারে এটাই আপনার বিসিএস লিখিত পরীক্ষার শেষ সুযোগ। তাই প্লিজ সময়কে কাজে লাগান।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এবার একটা প্রোগ্রাম শুরু করবো আপনারা চাইলে, সেটা এখানে হোক বা ম্যাসেনজার গ্রুপে। আমার মতে সংখ্যা যেহেতু কম তাই ম্যাসেনজার গ্রুপ হতে পারে।
৪৩তম প্রিলির জন্য আবার প্রোগ্রাম শুরু করবো দুই এক দিনের ভেতর। যাঁরা অল্পের জন্য উত্তীর্ণ হতে পারেননি ধরে নিন বিজয়ের কাছাকাছি ছিলেন কিন্তু কিছুটা ঘাটতি তো নিশ্চয়ই ছিলো। আমরা সেগুলো নিয়েও কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ এবার সফলতা আসবেই। কারন ঘাটতিটা আমরা বুঝতে পারবো এবার। প্রিলির জন্য আলাদা করে লিখবো।
এই বিরূপ পরিস্থিতিতে সকলের সুস্থতা কামনা করছি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন