Moktel H. Mukthi মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তাঁর নাম উঠেনি। কোন বন্ধু যদি মনে করে থাকেন--তিনি নিজের স্বার্থের জন্যে সংগ্রাম করছেন,ঘন্টায় ভহন্টায় স্টেটাস দিয়ে বন্ধুদের বিরক্ত করছেন তাহলে ভুল হবে। যাঁকে বা যাদের উদ্দেশ্য করে প্রতিনিয়ত বিশোদগার করে চলেছেন তাঁরাও যদি মনে করেন Moktel H. Mukthi তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন-'তাঁরাও বড় ভূল করবেন'।
Moktel H. Mukthi সংগ্রামরত: সেই সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বিকৃতির আদায়ের জন্যে, যারাঁ সম্মান বা সনদ পাওয়া না পাওয়া নয়, বাংলাদেশকে হানাদার মুক্ত করার জন্যে জীবনবাজী রেখে, জাতির জনক 'বঙ্গবন্ধু'র ডাকে মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁরা আদৌ কস্মিনকালেও চিন্তা করেননি, তাঁদের রক্তের বিনীময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে, রাজাকারের তালিকা না হয়ে তদস্থলে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা'দের তালিকা হবে। তাঁরা সকলে'ই যুদ্ধপরবর্তী বঙ্গবন্ধুর আহব্বানে 'যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ' গড়ার কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে, স্ব-স্ব কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন।তাঁরা ঘুনাক্ষরেও ভাবেননি তাঁদের সনদ প্রাপ্তির জন্যে এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির নিমিত্তে নীজ নামটি কোন একসময়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তভূক্ত করতে হবে।তাঁর'ই নিমিত্তে যুদ্ধকালীন প্রমাণাদি তাঁকে যথারীতি সংগ্রহ করে সংরক্ষন করতে হবে।মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী- "মুক্তিযুদ্ধ বিরুধী শক্তির রাষ্ট্রীয় সুযোগপ্রাপ্ত 'বংশধর'দের নিকট মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের স্বীয় অবদানের প্রমান উপস্থাপন করে সনদ প্রাপ্ত হ'তে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা Moktel H. Mukthi সাহেবের সংগ্রাম মুলত: সেই সমস্ত অসংখ্য বীর সেনানী যাঁরা তথাকথিত 'যাছাই বাছাই কমিটি'র চলমান সিষ্টেমের কারনে মুক্তিযোদ্ধা হ'তে পারেননি। অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধ বিরুধীশক্তি'র বংশধর '৭৫ পরবর্তী রাষ্ট্রীয় সুযোগ গ্রহন করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ অর্জন করেছে। বর্তমানে তাঁদের অধিকাংশ'ই দিব্যি মুক্তিযোদ্ধা'দের বর্তমান নেতা।তাঁরা'ই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা'দের মাথার উপর ছড়ি ঘুরাচ্ছে। তাঁরা'ই মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা'র সঙ্গে জড়িত ছিল এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী নতুন 'বাংলাদেশ সরকারে'র আইন-শৃংখলা অবনতিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিল এবং কি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু'র স্ব-পরিবারে হত্যায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।'৭৫ পরবর্তী রাষ্ট্রীয় আনুকুল্যে তাঁরা'ই প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ, চাকুরী ক্ষেত্রে দীর্ঘ একুশ বছর একচেটিয়া সুযোগ গ্রহন করেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে'ই বীর মুক্তিযোদ্ধা Muktel H. Mukthi সাহেবের 'হার না মানা এই সংগ্রাম'।
মুক্তিযোদ্ধা'র সন্তানেরা সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার কতৃক অবহেলীত হয়ে এই সু-দীর্ঘ সময় মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছিল।বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল 'বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ' এবং মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবধিত নেতা জাতির জনক 'বঙ্গবন্ধু'র জৈষ্ঠকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা'রা আশায় বুক বেঁধেছিল এবার বুঝি তাঁদের দীর্ঘ যুগের আখাংক্ষিত রাজাকার পরিবারের তালিকা প্রণীত হবে, অবৈধ রাষ্ট্রীয় সুযোগ নেয়া তাঁদের সন্তানদের চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় সুযোগ কেড়ে নেয়া হবে।মুক্তিযোদ্ধাদের আশায় গুড়েবালি যখন দেখে- মুক্তিযুদ্ধের বিরুধীশক্তির রাষ্ট্রীয় সুবিধা গ্রহনকরা প্রজাতন্ত্রে'র অ-মূক্তিযোদ্ধা ক্যাডার কর্মকর্তারা'ই 'মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই কমিটি'র মূল কর্মকর্তা!তাঁদের সুপারিশে'ই পেতে হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা'দের সনদ!
ব্যাক্তিগতভাবে আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার আলোকে যতটুকু দেখেছি এবং বুঝেছি-'৭৫ পরবর্তী সরকার সমুহ সুকৌশলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সমূহ'কে সমাজে, রাষ্ট্রে, সরকারে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সূদুরপ্রসারী চিন্তাভাবনা আলোকে, মুক্তিযুদ্ধকালিন প্রবাসী সরকার'কে যে সমস্ত কালোশক্তি প্রতিনিয়ত বিভ্রান্তির বেড়াজালে রেখে, বাঙ্গালী জাতীর মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিপদগামী করার চেষ্টারত: ছিল, তাঁদেরকে' এবং তাঁদের সন্তানদের রাষ্ট্রীয় ভাবে '৭৫পরবর্তী সরকার সমূহ মুক্তিযোদ্ধা সনদ হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে পূর্ণবাসিত করেছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তাঁদের হাতে'ই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান Moktel H. Mukthi সহ অসংখ্য, অগনিত বীর মুক্তিযোদ্ধা বার বার পরিক্ষা দিতে হচ্ছে- প্রতিপদে পদে নাজেহাল হচ্ছে
আরো সহজ ভাবে বলা যায়-প্রায়শ:ই দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরীর বয়স শেষ করে অবসর জীবনে এসে দেখেন, বর্তমান তালিকায় তাঁর নাম' নেই, প্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় সম্মান থেকে সে বঞ্চিত।অথছ তাঁর'ই সমাজের একজন মুক্তিযুদ্ধকালে পাঞ্জাবীদের সাথে থেকে ঐ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর নিয্যাতন করেছিল, সেই ব্যাক্তিটি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম তুলে সনদের অধিকারী হয়েছেন এবং যথারীতি রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও সম্মান ভোগ করে চলেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির শেষ ভরসা বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যার পরিচালিত "গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"। আপনার সরাসরি হস্তক্ষেপ ব্যাতিত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার আত্মচিৎকার থামানো সম্ভব নয়। তাঁদের চোখের জলে অভিশপ্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি এবং প্রয়াত 'বঙ্গবন্ধু'র পবিত্র আত্মা। অবিলম্বে সরকারি কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত "মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই কমিটি" বাতিল করার উদ্যোগ গ্রহন করুন- তদস্থলে রাজাকার পরিবার চিহ্নিত করার উদ্যোগ গ্রহন করুন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা সহ অন্যান্ন রাষ্ট্রীয় সুযোগ নিশ্চিত করুন- বাদবাকি আপামর নাগরিক'দের জাতির 'মহান মুক্তি যুদ্ধে"র পক্ষশক্তি'র সাত্বনা মূলক মহামুল্যবান প্রাপ্তি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি'র ব্যাবস্থা নিশ্চিত করুন।
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন