হ্যাঁ,নতুনত্বের নিশান হাতে আসবেন কবি। শোনাবেন মধুময় কবিতা এমন আশা করেই দর্শক সারিতে চুপিসারে অপেক্ষারত।
কবির কাজ কবিতা,কবির কলমে কবিতা, কবির মননে কবিতা,কবির ছবিতে কবিতা।
তা কবিতা শুনতে বসেই ত আছি!নাকি খরতাপদাহে নিজেকে কিঞ্চিত প্রশান্তি দিতে হল রুমের কোনার খানিক ভাঙ্গাচোরা চেয়ারের পাশে বসে আছি
আসলে কেন বসে আছি তা বিবেচ্য বিষয় নয়।বিষয় বসে আছি।আর সময়ও চলে যাচ্ছে।
খুধার্ত সময় তেমন আর কেমন হয় তা ত সমগ্রোত্রহীন কেউ জানবেনা।
তবু কবি আসবে।কবিতা শুনবো।কবি এল।
হ্যাঁ হাজারো সত্যের মাঝে এটিও অনেক বড় সত্যি কবি এল
কিন্তু আমার বুঝার ভুল না উপস্থাপকের ভুল ছিল সে ভাবছি।
মঞ্চে দাড়িয়েই কবি নিজেই নিজের পরিচয় দিল -
আমি কবির।আমার সাথে যে রমনীকে দেখতেছেন তিনি কবিতা।
আহমক কত বড় হতে পারে? আমার সমান,উপস্থাপকের সমান?
নচেৎ উপস্থাপক এতক্ষন বললো কি?আমি শুনলাম কি?
কার ভুল আমার না উপস্থাপকের।শুনতে বসে আছি কবিতা।এখন শুনতেছি কবির বলতেছে যা বলার কবিতায় বলবে?
যাক বসে যখন ছিলাম বসে বসে না হয় কবিতা আপা, থুক্কু কবিতা মেড়াম কি বলে শুনি।
কবিতা মেড়ামের প্রথম বানী উনার নাম কবিতা হলেও তিনি কবি নন।তিনি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ভক্ত।কোথায়ও এতদিন এমন সঙ্গীত জলসা আর করতে পারেননি।প্রথম এটি তার অনুষ্ঠান।
আবার বললেন, তিনি তাদের নিয়েই আসর করবেন যাদের আছে অনেক বড় সনদ
খুবই ত ভাল।
বিপত্তি করে দিল শালা বিদ্যুত থুক্কু কারেন্ট। বিদ্যুত বললে কারও নামের সাথে মিলে গেলে আবার কোন বিপদ হয়।
গরম আর ঘামে কবিতা মেড়ামের যায় যায় অবস্থা।কবিতা মেড়ামের চোখে মুখে গরমের চিহৃ।চোখ লাল।
বেঁচে থাকলে ত সঙ্গীত,দ্রুত চলে গেলেন ওয়াশ রুমে।ধ্যৎ শালার টেপে পানিও নেই।চাপাকলের পানি চিপে হাত মুখ ধুয়ে কবিতা মেড়াম আবার যখন মঞ্চে আসলেন তখন আমার চোখ ছানাবড়া
কিরে এতক্ষন দেখলাম পরী,এখন দেখি পেত্নী।মনে হয় খুদার জ্বালায় আমার এমন হচ্ছে।কবির কে কবি শুনেছি।আবার ভাবি কবিতা শব্দটি তবে ঠিক শুনলাম কেমনে?
আর চোখেও সমস্যা দেখা না দিলে এতক্ষন সুন্দরী কবিতা মেড়ামকে দেখলেও এখন এত কালো দেখতেছি কেন?
নিশ্চয় খুদায়।
তবু বসে আছি,কবিতা মেড়াম বলে উঠলেন যারা যারা অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন তারা যেন ১০০টাকা দিয়ে টিকেট নেন?
ধ্যৎ শালার খুদার দোষে ত আর ১০০টাকা গর্চা দিতে পারিনা। বেরিয়ে যাবো।তার আগেই দেখি হুড়মুড় করে সবাই আমার আগেই বেরিয়ে যাচ্ছে।আর বলতেছে আরে বেটি আমাদের নিজেদেরই টাকার প্রয়োজনে আগমন আর সেখানে কি না তোরেই দিতে হবে উল্টো!
সবার পেছনের টা আমি অপদার্থ
মায়া হল বটে।তবে কবির না কি কবিতা মেড়ামের জন্য! আসলে এখনও নিজেই নিশ্চিত নই কার জন্য মায়া হচ্ছে।
কবির না কি কবিতা।
চিন্তা করলাম আমি খুধার্ত, টাকা নেই নচেত কবির আর কবিতা মেড়ামের চা'য়ের পয়সার জন্য হলেও ১০০টাকা দিয়ে একটা টিকেট কিনেই নিতাম।
যাক আজ পারিনি ত কি হয়েছে।পরের কোন দিন না হয় ১০০টাকার একটা টিকেট কিনেই নেবো।
গেলাম কবিতা মেড়ামের কবিরের কাছে, ঠিকানাটা দিন আজকের পরে কখন কোথায় আপনাদের অনুষ্ঠান।
না আমাদের ত আর কোন অনুষ্ঠান নেই জানালেন কবির?
বললাম তবে বাসার ঠিকানা দেন সেখানে ১০০টাকা পৌছে দেবো।বললেন তিনি শুধু নিজের নামই লিখতে পারেন?
হতভাগ্য নিয়ে একটুকরো কাগজ আর কলম নিয়ে একই দাবীতে গেলাম দর্শকশূন্য মঞ্চে দাড়িয়ে নিজের অজান্তে আখিঁ জলে একাকার কবিতা মেড়ামের কাছে।
তিনি ফিসফিসিয়ে বললো দাদা আমি ত টিপ দিয়ে কাজ করি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন