মুরাদনগরে মসজিদের মুসল্লীদের উপর হামলার নেতৃত্ব দেন যুবলীগ নেতা শাহিন ভুইঁয়া ও ছাত্রলীগ নেতা ডিজে কালাম

কুমিল্লার মুরাদনগরে বাঙ্গরা বাজার থানা যুবলীগের সদস্য শাহিন ভুইঁয়া ও একই থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কালাম খাঁনের নেতৃত্বেই মসজিদে জুমার নামাজের মুসল্লীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটানো হয় আর এ হামলায় একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় একজন গুরুতর আহতসহ অন্তত আরো ছয়জন আহত হয়েছে।

পুলিশের নিকট দায়ের করা একটি অভিযোগে বাঙ্গরা বাজার থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কালাম খাঁন প্রকাশ ডিজে কালাম ও একই থানা যুবলীগের সদস্য শাহিন ভুঁইয়ার নাম এসেছে। এ কারনে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষনিক পুলিশ যুবলীগ নেতা শাহিন ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে পুলিশ বলছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

গত শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাংগরা বাজার থানাধীন কুড়াখাল মসজিদে জুমার নামাযের আযানকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

বাংগরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, শুক্রবার দুপুরে কুড়াখাল মসজিদে জুমার নামাজের খুতবার আজান মসজিদের ভেতরে, নাকি মসজিদের বাইরে দেবে, এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় অন্তত ৬ থেকে ৭ জন আহত হয়।

আহতদের মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আবু হানিফ খান (৪৫) নামে একজন মারা যান এবং আবুল খায়ের নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। নিহত আবু হানিফ খান কুড়াখাল গ্রামের আবদু খানের ছেলে।

বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, কুড়াখাল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুসল্লিরা দুই ভাগে বিভক্ত। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জেরে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।

ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান এ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে এবং জড়িত অন্যান্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন