মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরী, কুমিল্লা : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বর্তমান বাঙ্গরা বাজার থানার খামার গ্রামের মৃত আহাদ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়াকে হত্যা অভিযোগে নয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে।
দীর্ঘ ৩০ বছর পর গত ২৩ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে নিহত রিপন মিয়ার মামা বাঙ্গরা বাজার থানার দিঘীর পাড় গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে জাফর আহমেদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছিলেন।
আদালতে আর্জির ১৩ দিন পর রোববার বিকেলে আদেশ বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী কুমিল্লা উত্তরে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল বলেন, গত ৩০ বছর আগের ঘটনায় গত ২৩ আগষ্ট আমি বাদী পক্ষের হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে ওই তারিখই দেখিয়ে আজ রোববার বিকেলে এর আদেশ বের হয়। কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ওমর ফারুক অভিযোগটি এফআইর করে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বাঙ্গরা বাজার থানার ওসিকে।
এ মামলার আসামীরা হলেন, বাঙ্গরা বাজার থানার দিঘীর পাড় গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে ছন্দু মিয়া, হানিফ মিয়া, সাম মিয়া, হামদু মিয়া ও মৃত চাঁন মিয়ার মেয়ে জমিলা বেগম ও মুঞ্জুরী বেগম, হামদু মিয়ার প্রথম স্ত্রী, লীল মিয়া ও পিয়ারা বেগম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর শনিবার সকাল দশটার সময় এ মামলার ৫ ও ৬ নং আসামী বাঙ্গরা বাজার থানার দিঘীর পাড় গ্রামের মৃত র্চাঁন মিয়ার মেয়ে জমিলা বেগম ও মুঞ্জুরী বেগম ভ‚ক্তভোগী নিহত রিপন মিয়াকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মুরাদনগর উপজেলার বর্তমান বাঙ্গরা থানাধীন দিঘীর পাড় গ্রামের যাদু শাহ মাজারের পূর্ব পাশের পুকুরের ঘাটলায় অপরাপর আসামীদের নিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাথারী কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহটি কয়েকটি খন্ডে খন্ডিত করে চারটি পাটের বস্তায় ভরে অভিযুক্তদের বাড়ি হতে প্রায় আধা কিলোমিটার পশ্চিম পাশে ধনপতিখোলা খনাখদকান্দা রাস্তার উত্তর পাশের পুরাতন বট গাছের নিচে পুতে রাখে।
ওই সময় এ মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা দেখে ফেলায় তাদেরকেও হত্যার হুমকি দিয়ে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য বলে আসামিরা।
এ ব্যাপারে সে সময় মামলা করার সাহস করতে না পারায় এবং বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে থাকায় তিনি এ মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে রোববার বিকেলে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মামলার আদেশ এখনো থানায় পৌঁছায়নি থানায় আসলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন