যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও অপরাধমূলক কাজ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার বাসিন্দা মহিউদ্দিন শিকদার এ মামলার বাদী।
এই মামলায় আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হাসান সারওয়ার্দীকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দর থেকে আরেফীকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। জানা যায়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, মিয়া আরেফীকে হেফাজতে নিয়ে বেশ কিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে বিএনপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরেফীর বরাত দিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, তিনি যেটি বলেছিলেন সেটি ভুল করেছিলেন। এটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাঁকে এটি শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তিনি স্পিকার, ডেমোক্র্যাট কমিটির লিডার এবং জো বাইডেনের উপদেষ্টা—সেটি বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে বলবেন।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় আরেফী নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই নামে কাউকে মহাসচিব চেনেন না।
এরপর ঢাকায় নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (ইশরাকের সঙ্গে থাকা) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে কথা বলেন না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওখানে গিয়েছেন।’
রোববার সকালে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, তাঁর ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন