নিষ্ক্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ

মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরী, কুমিল্লা : দলীয় সব কর্মকান্ডের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে মাঠে চায় আওয়ামীলীগ। বিশেষ করে পদে থেকে দলীয় কর্মকান্ডে নিষ্ক্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে এবার হার্ডলাইনে যাচ্ছে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ।

দলীয় কর্মকান্ডে না থেকে শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ঢাকায় থেকে বলছেন তার অবস্থান এলাকায়। দলের পুরোনো কর্মকান্ডের ছবি পাঠানোর নজির মিলেছে। এ ধরনের নেতাদের তালিকা করা হচ্ছে। মাঠে না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

ইতোমধ্যে কুমিল্লা উত্তরের ৭ টি উপজেলার নিস্ক্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের নিস্ক্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধেও। শনিবার কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে মুরাদনগরে অনুষ্ঠিত সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহাম্মদ রহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের সঞ্চালনায় ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সবুর এমপি। বিশেষ অতিথি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকার এমপি ও ডা.  প্রান গোপাল দত্ত এমপিসহ জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রমতে, চলমান বিরুধী আন্দোলন মোকাবেলা করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ-সহযোগী নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন জেলার সভাপতি মুহাম্মদ রুহুল আমিন।

সিনিয়র নেতাদের পর্যবেক্ষণ, সাংগঠনিক উপজেলা মুরাদনগর ও দেবীদ্বারে নেতাকর্মীদের তৎপরতা খুব বেশি দেখা যায়নি। অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল।

জানতে চাইলে আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সবুর এমপি বলেন, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবেলা করতে চূড়ান্ত কর্মসূচিতে আছে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ। যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে, নেতাকর্মীরা সেভাবেই পালন করছেন। সামনের দিকে কর্মসূচিতে সক্রিয়তা বাড়াতে নির্দেশনা আছে।’

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছে। নেতাকর্মীদের সক্রিয়ভাবে কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা রয়েছে। যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে বিরুধী দলের অপপ্রচার ও গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর হতে বার্তা দেওয়া হয়েছে।’

জানা যায়, জেলাসহ উত্তরের কয়েকটি উপজেলার শীর্ষ নেতারা এখনো নিষ্ক্রিয় আছেন। এমনকি তাদের মোবাইল ফোনেও সময়মতো পাওয়া যায় না। যে কারণে সংশ্লিষ্ট জেলার তৃণমূল নেতারা একধরনের অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। এসব উপজেলার নেতাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন