উল্লেখ্য, অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বুধবার মধ্যরাত থেকে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, দেবীদ্বার, বুড়িচং ও ব্রাহ্মনপাড়াসহ ও সদর সীমান্তবর্তী এলাকায় আকষ্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন প্লাবিত এলাকাগুলোর মানুষ। বহু পরিবার এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসন।
সৈয়দ আতিকুল্লাহ প্রিয়া জানান, মুরাদনগর উপজেলার গোমতী পাড়েরর তীরবর্তী অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাছাড়া যারা পানিবন্দি রয়েছেন তাদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসন।
আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা ও জেলা প্রশাসনের সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সার্বক্ষণিক তদারকি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা কার্যালয় থেকে আরও জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে সমগ্র কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে মোট ৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন