কুমিল্লা থেকে উদ্ধার হওয়া হাতিটি এখন গাজীপুর সাফারী পার্কে

মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরী, কুমিল্লা : কুমিল্লায় পায়ে শিকল বেঁধে নির্যাতন করা হাতিটি উদ্ধার করে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সফারী পার্কের হাতিশালায় আনা হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

হাতিটি উদ্ধার করেছে কুমিল্লা বন বিভাগ। কুমিল্লার বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির বলেন, একটি হাতির পায়ে শিকল বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি আমাদের নজরে এলে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। পাশপাশি ওই ভিডিওটি যাচাই করে তা শনাক্তের পরে হাতিটিকে উদ্ধার করতে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। নিদের্শনা মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সোনাই উল্লাহ এলাকা থেকে হাতিটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, হাতির সাথে থাকা তিনজন মাহুত দোকানপাটে ঘুরে ঘুরে টাকা তুলতেন। টাকা তোলার সময় হাতিটি হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে যায়। গত ২৪ আগস্ট দাউদকান্দি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে তান্ডব চালায় হাতিটি। পরে হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গে থাকা তিন মাহুত হাতিকে আঘাত করতে থাকে। সে সময় ঘটনাস্থলে থাকা কেউ একজন এর দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। আমরা ঘটনাটির বিস্তারিত জানার জন্য কাজ শুরু করি। এরই মধ্যে হাতি নির্যাতনের বিষয়টি নজরে আসে পরিবেশ উপদেষ্টার। এরপর তিনি ওই হাতিটিকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন এবং হাতিটি উদ্ধার করা হয়।

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ৭০/৭২বছর বয়সী হাতি দিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও পথচারীর নিকট থেকে মাহুত টাকা আদায় করছিলেন। পরে খবর পেয়ে বন ও বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালায়। 

এ সময় অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে হাতির মাহুত হাতিটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। হাতিটি জব্দ করে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়। পরে হাতিটি পার্কের হাতিশালায় আলাদাভাবে আটকে (কোয়ারেন্টাইনে) রাখা হয়েছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন