মামলায় সংসদ সদস্য বাহার, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল হক রিন্টু ও বাহারের দেহরক্ষী দুলালের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। কুমিল্লার এক নং আমলি আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সাংবাদিক বাহার রায়হান সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি ও রুপসী বাংলার ফটোসাংবাদিক হিসেবে দীর্ঘদিন মাঠে কাজ করছেন। বিগত ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের হরতাল চলাকালে সাবেক সংসদ সদস্য বাহারের হুকুমে বিএনপি-জামায়াতের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ত্রিমুখী সংঘর্ষে সাংবাদিক বাহারসহ বেশ কিছু লোক আহত হয়। তখন সাংবাদিক বাহার আহতবস্থায় সংঘর্ষের ভিডিও চিত্র ধারণ করছিলেন। তখন সাবেক সংসদ সদস্য বাহারের নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা সাংবাদিক বাহারকে মারধর করে এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এর পরও বিভিন্ন সময় তাঁর ওপর হামলা ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
সাংবাদিক বাহার রায়হান মামলার অভিযোগে আরও জানান, ২০১৫ সালের ওই ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন সংসদ সদস্য বাহার। যে কারণে মামলা করতে সময় ক্ষেপণ হয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লার কর্মরত একাধিক সাংবাদিকের ওপর নির্যাতন-মামলা-হামলার অভিযোগ রয়েছে এমপি বাহারের বিরুদ্ধে।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে সাবেক এমপি বাহার ও তাঁর মেয়ে সাবেক মেয়র সূচনাসহ ২২৫ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া রোববার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহার ও তাঁর মেয়ে সূচনাকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন