শনিবার (১ মার্চ) সাবেক ওই মন্ত্রীর ভাতিজা কাজী শাহ আবু ফারাহ মোহাম্মদ জায়িফ তার পক্ষ থেকে মুরাদনগরে এই উপহার পৌঁছে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি চৌধুরী রকিবুল হক শিপন, মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সৈয়দ হাসান আহমেদ ও যুবদল নেতা মাসুম মুন্সি প্রমুখ।
রমজানের উপহার পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন শহিদ ইমনের মা রেহেনা বেগম। তিনি বলেন- ‘আমার ছেলে শহিদ হওয়ার পর সাবেক এমপি কায়কোবাদ দাদা আমারে ৫০ হাজার টাকা দিছে। বসত ঘর, টিউবওয়েল, টয়লেট এমনকি রান্নাঘরও করে দিছে। কালকে রোজা আজকেই আমারে রমজানের উপহার দিয়ে গেছে। এত দামী খেজুর আমারে দিছে। আল্লাহ দাদারে নেক হায়াত দান করুক।’
শহিদ সাব্বিরের মা বলেন, ‘কায়কোবাদ দাদা ছাড়া আমাদের কেউ খোঁজও রাখে না। কালকে রোজা আজকে কায়কোবাদ দাদা ভাইয়ের পক্ষ থেকে রমজানের উপহার পেলাম। এর আগে আমার ছেলে যখন আহত ছিল তিনি চিকিৎসা করেছেন। শহিদ হওয়ার পর দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করেছেন। ৫০ হাজার টাকা দিছেন। বসত ঘর, টয়লেট, টিউবওয়েলও করে দিছেন। আল্লাহ দাদারে ভাল রাখুক। আমরা সাধারণ মানুষ এমন এমপি ই চাই।’
শহিদ পরিবারের মধ্যে রমজানের উপহার বিতরণের সময় কাজী শাহ আবু ফারাহ মোহাম্মদ জায়িফ শহিদ পরিবারের উদ্দেশ্য বলেন- ‘আপনার শহিদ সন্তানের পক্ষ থেকে এ উপহারটুকু গ্রহণ করুন। প্রথম রমজানেই এ খেজুর দিয়ে ইফতার করবেন। আমার বড় বাবা (কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ) বলেছেন, আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের জানালে আমরা খুব খুশি হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আল হামদুলিল্লাহ। আল্লাহর রহমতে আমার বড় বাবা (কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ) শুরু থেকেই শহিদ পরিবারের পাশে ছিলেন। তাদের পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা ও বসতঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। পবিত্র রমজান উপলক্ষে তাদের জন্য আমাদের মাধ্যমে উপহার পাঠিয়েছেন। আমরা শহিদদের জন্য দোয়া করি এবং সবসময় তাদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন