উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘হাসপাতালের সামনে পরিত্যক্ত জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলতেন রোগীরা। সেখান থেকে জন্ম নিতো মশা-মাছি। এমনকি দুর্গন্ধও ছড়াতো। প্রতিদিন হাসপাতালে যেতে-আসতে এসব আমার চোখে পড়তো। এমন পরিবেশ রোগীদের হাসপাতালে প্রবেশের পর অস্বস্তিতে ফেলতো।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাগোয়া কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স। তার ডান পাশে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালে ঢুকলেই বাঁ পাশে চোখে পড়বে প্রায় এক বিঘা পরিমাণ সূর্যমুখীর বাগান। বাগানে সূর্যের আলো পড়ে ঝলমল করছে।
এ ছাড়া সূর্যমুখীর বড় ফুলগুলোকে মনে হচ্ছে যেন জমিতে সূর্যের মেলা বসেছে। বাগানের পাশে রোগী ও তাদের স্বজন এবং স্থানীয় দর্শনার্থীরা ঘুরে দেখছেন। কেউ ছবি, কেউবা সেলফি তুলছেন। এই স্থানে গত বছর সরিষার চাষ হয়েছে।
হাসপাতালের পেছনের অংশে রয়েছে ফুল, সবজি, ফল, কাঠ ও ওষুধি গাছের বাগান। সবজি বাগানে রয়েছে বাঁধা কপি, ফুলকপি, টম্যাটো, লাউ, কুমড়া ও মরিচ। ফলদ বাগানে রয়েছে আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফল গাছ। সেখানে অবসরে জমির পরিচর্যা করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা। পুকুর পাড়ে রয়েছে দেবদারু ও সুপারিসহ বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হাসপাতাল কম্পাউন্ডে কিছু পরিত্যক্ত জমি ছিল। ভাবলাম- চিকিৎসার পাশাপাশি যদি পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ভালো রাখা যায়, তাহলে রোগীর মন উৎফুল্ল থাকবে। উৎফুল্ল থাকলে রোগীর সুস্থতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই জমি ভরাট করে ফুল, ফল ও সবজির চাষ শুরু করলাম।
উপজেলা কৃষি অফিসার জোনায়েদ কবির খান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিছু খালি জমি অনেকটা জঙ্গলের মতো ছিল। তারা গতবার সরিষা ও সবজির চাষ করে। এবার করেছে সূর্যমুখীর চাষ। তাদের আমরা পরামর্শ ও বীজ দিয়ে সহযোগিতা করছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন