রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবি, বিজিবি সদস্য বিল্লালের লাশ বাড়ির পথে

মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরী, কুমিল্লা : কক্সবাজারে টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার থেকে নতুন করে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ থাকা বিজিবির সদস্য বিল্লাল হাসানের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে বাড়ির উদ্দ্যেশে পাঠানো হয়েছে।

এ নিয়ে ঘটনায় বিজিবির সদস্য সহ সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার হল। যাদের মধ্যে ছয়জন রোহিঙ্গা।

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনার পর রোববার ১২ টার দিকে নিখোঁজ হওয়া বিজিবি সদস্য সিপাহী মো. বিল্লাল হাসানের মৃতদেহ শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনের মাঝামাঝি গভীর সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় টেকনাফে নাফ নদীর দমদমিয়া এলাকা থেকে প্রথম দফায় এক শিশুসহ চার রোহিঙ্গা এবং পরে রাতে একই এলাকা থেকে দ্বিতীয় দফায় আরও ২ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।  

এদিকে রোববার বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বিজিবি সদস্য সিপাহী মো. বিল্লাল হাসানের মৃতদেহ বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন দপ্তরের নেওয়া হয়। সেখানে মরদেহের গোসল ও প্রথম নামাজের পর মৃতদেহ নিয়ে বিজিবির সদস্যদের একটি দল বিল্লাল হাসানের কুমিল্লার গ্রামের বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দেন। সেখানে পৌঁছার পর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মৃত উদ্ধার মো. বিল্লাল হাসান (২৮) বিজিবির টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত ফাঁড়িতে সিপাহী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কাজিয়াতল এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে।

শুক্রবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিমপাড়া ঘাটের নিকট দিয়ে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা অবৈধ উপায়ে সাগরপথে বাংলাদেশে আসার সময় প্রবল স্রোতের কারণে নৌকাটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে সৈকতের পার্শবর্তী স্থানে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা তৎক্ষণাৎ স্থানীয় জেলেদেরকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের জন্য ছুটে যান। 

এ সময় ২৫ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকার্য চলাকালে সমুদ্র উত্তাল থাকায় এবং রাতে অন্ধকারের কারণে বিজিবি সদস্য সিপাহী (জিডি) মো. বিল্লাল হাসান পা পিছলে পড়ে সমুদ্রে নিখোঁজ হয়।  

এ ছাড়াও উদ্ধারকৃত ৬ রোহিঙ্গার মৃতদেহ স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দমদমিয়া কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন