বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে সকাল ৯ টায় তাদের আদালতের হাজত খানায় হাজির করা হয়। এরপর ৯ টা ৫০ মিনিটে হাজত খানা থেকে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে মোজাম্মেল হক বাবুকে আটক করা হয়। পরের দিন রাজধানীর ভাসানটেক এলাকায় ফজলু হত্যা মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।
২১ আগস্ট ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে পুলিশ।
মোজাম্মেল বাবু, ফারজানা, শাকিলের মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন উত্তর কুতুবখালী বউ বাজারে আন্দোলনে অংশ নেন ইমরান হাসান। এদিন দুপুর ১টায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা কোহিনূর আক্তার গত ৬ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৯৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করে।
ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদের মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন দনিয়া এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মাদরাসার আলিম ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ মুন্তাসির রহমান। এদিন দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সৈয়দ গাজিউর রহমান ১১ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করে।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের জেরে দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির
একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রুপার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এমন মামলা উদ্বেগজনক উল্লেখ করে সম্প্রতি এ হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে
বিবৃতিতে বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রকাশ করা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। কোনো সংবাদে তথ্যগত অসঙ্গতি থাকলে তার প্রতিবাদ করার নিয়মতান্ত্রিক পন্থা রয়েছে। তা না করে মামলা দায়েরের ঘটনা ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি।
তিনি আরো বলেন, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে সাংবাদিকরা যখন সোচ্চার ঠিক তখনই বিভিন্ন মহলে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অসাধু চক্র নিজেদের দুর্নীতি-অনিয়ম-অপরাধ ঢাকতে সাংবাদিকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ওই চক্রটির কর্মকাণ্ড সরকারের স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সাংবাদিকদের হয়রানির উদ্দেশ্যে এমন মিথ্যা মামলা কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা।
সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর বলেন, স্বাধীন দেশে গণমাধ্যমের ওপর এমন নগ্ন হামলা বন্ধ না হলে সাংবাদিক সমাজ এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে মোক্ষম জবাব দিতে বাধ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন