'কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক বাধা ||
মুরাদনগরে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে আতঙ্কে বাসিন্দারা' এরকম শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এ সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পরিবহন চেক করাসহ মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেটকারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় পাঁচটি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকজন শিক্ষার্থীকে রাতের বেলা ঘোরাঘুরি করতে দেখায় তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। রোববার মধ্যরাতে মুরাদনগর উপজেলা সদরের উত্তরপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে গত রোববার দৈনিক তৃতীয় মাত্রা পত্রিকার খবরের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুমিল্লার মুরাদনগরে অন্যতম এক আতঙ্কের নাম এখন 'কিশোর গ্যাং'। সন্ধ্যা হলেই রাস্তায় বের হতে ভয় পায় মানুষ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে আহত হয়েছেন ২৯ জন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে থানায় অভিযোগ করা তো দূরের কথা নাম প্রকাশ করতেই ভয় পায় ভুক্তভোগীরা। বর্তমানে উপজেলা সদরের ৯টি এলাকায় ১২টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চায় সাধারণ মানুষ।
সংবাদ প্রকাশের পর মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুর রহমান, উপজেলার সহকারী কমিশনার সাকিব হাসান খানসহ মুরাদনগর থানার একটি টিম উপজেলা সদরের উত্তরপাড়া এলাকায় প্রায় তিন ঘণ্টা যাবত এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশির পাশাপাশি যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় পাঁচটি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে মুরাদনগর সদর ও থানার সংলগ্ন এলাকাগুলোতে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাটে দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ কিশোররা ঘোরাফেরা করে। তা ছাড়া পাড়া-মহল্লায় গড়ে ওঠা এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা ইভটিজিং, চুরি, ছিনতাই, মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন