সিআরবি বাঁচাও আন্দোলনে জিতবে সাধারণ মানুষ- নাগরিক সমাজের সমাবেশে এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল।
সিআরবি রক্ষা আন্দোলন, চট্টগ্রামের সদস্য সচিব বর্ষীয়াণ আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেছেন, চট্টগ্রামের মানুষকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে লাভ হবে না। বৃটিশ আমল থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা পর্যন্ত চট্টগ্রামবাসী রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই রাজপথে নেমেছে, আন্দোলন করেছে, বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। সিআরবি বাঁচাও আন্দোলনেও জিতবে চট্টগ্রামের মানুষ। কারণ সিআরবি চট্টগ্রামবাসীর ফুসফুস। এ ফুসফুসকে ধ্বংস করে ০.৫ % রোগীর জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করতে দেবো না আমরা। এ দাবি আদায়ে আমরা বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে আমরা অবিচল। আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত ধারাবাহিক অবস্থান কর্মসূচি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সিআরবি এলাকা হলো চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক অক্সিজেন ভূমি বৈচিত্র্য ও প্রান বৈচিত্র্যের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র। এতে হাসপাতাল কিংবা অন্য কোন স্থাপনা করলে এর পরিবেশ প্রকৃতি নষ্ট হবে এবং এর প্রভাব চট্টগ্রাম মহানগরের ৭০ লক্ষ মানুষকে ভোগ করতে হবে। সিআরবিতে প্রস্তাবিত হাসপাতালের জায়গাতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান চাকসু জি.এস. আবদুর রবসহ আরো নয়জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদের কবর। এই কবরের উপর ব্যক্তিমালিকানাধীন মুনাফামুখী হাসপাতাল শুধু নয় যে কোনো স্থাপনাই হবে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার শামিল। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখেছি। তাঁর কানে এসব তথ্য পৌঁছালে আমাদের পরিবেশ বান্ধব নেত্রী কখনোই এখানে বানিজ্যিক স্থাপনা হতে দেবেন না।
ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন পলাশের সঞ্চালনায় এবং সাবেক ছাত্র নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগ নেতা বিপু ঘোষ, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, জেনিফার আলম, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ও কবি মোহাম্মদ জামসেদ উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল উদ্দিন জায়েদ, আরাফাতুল মান্নান ঝিনুক, মাহমুদুল করিম, আবদুর রহিম জিল্লু, কাজী জামি, এম এ মনির, মোস্তাফিজ উদ্দিন মাহিন, মোহাম্মদ সাকিব, মামুনুর রশিদ রায়হান, শুভ দত্ত, পিকলু শীল জয়, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, কৃষক লীগ নেতা হুমায়ূন কবীর মাসুদ প্রমুখ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন নারায়ণ দাশ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন