৬৪ জেলা ঘুরে রেকর্ড গড়া শান্তর স্বপ্ন এখন বিশ্বজয়ের
শরিফুল আলম চৌধুরী, কুমিল্লা উত্তর : আমরা যখন ছুটি পাই বা অবসরে থাকি তখন পরিকল্পনা করি কোথাও ঘুরতে যেয়ে সময় কাটালে কেমন হয়! বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা বছরে এক বা একাধিকবার শীতকালীন সময়টাতে ঘুরতে বেশি পছন্দ করে। কিন্তু সেখানে মাত্র আড়াই মাস অর্থাৎ ৭৫ দিনেই দেশের প্রায় সবগুলো জেলা ভ্রমণ করে রেকর্ড গড়েছে সাইফুল ইসলাম শান্ত।
কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার পৌর এলাকার বড় আলমপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও করুণা বেগমের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্য দ্বিতীয় সন্তান সাইফুল ইসলাম। ১৯৯৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার জন্ম। তাদের আদী বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধনপতিখোলা হলেও ২০০৩সাল থেকে দেবীদ্বার পৌর এলাকার বড়আলমপুর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। তিনি দেবীদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৫সালে প্রাথমিক শ্রেণীর গন্ডি পেরিয়ে দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১১সালে মাধ্যমিক এবং ২০১৩সালে দেবীদ্বার সুজাত আলী সকোরি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরে ঢাকার দনিয়া বিশ^বিদ্যালয় কলেজ থেকে ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞানে ২০১৮সালে বিএসসি সম্মান সূচক ডিগ্রী লাভ করেন। সাইফুলের ছোটবেলা থেকেই হেঁটে হেঁটে ঘোরার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল। তবে সেটা বেড়ে গেছে স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর। একটু একটু করে হাঁটার দূরত্ব বাড়িয়েছেন সাইফুল।
ভ্রমণ নিয়ে তিব্বতের বিখ্যাত ধর্মগুরু ‘দালাই লামার’ একটি উক্তি আছে, ‘‘প্রতিবছর এমন একটি জায়গায় ভ্রমণ করা উচিত যেখানে এর আগে কখনোই যাওয়া হয়নি।’ প্রতিবছর নয়, শান্ত মাত্র আড়াই মাসে দেশের ৬৪টি জেলা ঘুরে শেষ করেছেন।
গত ১৪ জানুয়ারী রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেখান থেকে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় হয়ে সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারের অভিমুখে যাত্রা করেন। এ সময় শান্ত প্রতিটি জেলায় বৃক্ষরোপণ, মাটি সংগ্রহ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এসময়ে ৩৮টি জেলা সদর এবং ২৬টি উপজেলাসদরে ধারাবাহিক পদযাত্রা করেন।
এর আগে গত ২০১৬ সালে পথযাত্রা শুরু করেছিলেন সাইফুল ইসলাম শান্ত। তিনি ইতোমধ্যে হেঁটে দেশের ১৬টি জেলার ১০০০ কিলোমিটার কুমিল্লা থেকে বাংলাবান্ধা পথ অতিক্রম করেছিলেন।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে কুমিল্লার দেবীদ্বার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার সাইফুল হেঁটে গিয়েছিলেন ২২ ঘণ্টায়। এটা বাংলাদেশে এক দিনের হাঁটার ক্ষেত্রে একটা বড় রেকর্ড। গত ২৯ মার্চ (মঙ্গলবার) বিকেলে পুরো দেশ ঘুরে হাঁটার কাজ সম্পন্ন করা সাইফুল ইসলাম শান্ত এখন বেশ উচ্ছ্বসিত। এবার তিনি বেরিয়ে পড়তে যান বিশ্ব ভ্রমণে।
বুধবার দুপুরে ৬৪ জেলা ভ্রমণ শেষে তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌঁছালে অ্যাথলেট সাইফুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেন দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকরা। এ সময় দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযদ্ধের গবেষক প্রবীন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার সাইফুল ইসলাম শান্তর এই অর্জন ও পথযাত্রাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এসময় ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক আজকালের খবর প্রত্রিকার কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি মো. শরিফুল আলম চৌধুরী, দৈনিক নতুন সময়ের দেবীদ্বার উপজেলা প্রতিনিধি মো. শাহিদুল ইসলাম, দেবীদ্বার উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক দৈনিক সমাচার পত্রিকার সাংবাদিক মো. ময়নাল হোসেন, নিজেরা করি সংস্থার রসুলপুর উপকেন্দ্রের প্রতিনিধি সুপ্রীয়া মন্ডল, এসএ টিভির দেবীদ্বার প্রতিনিধি মো. সফিউল আলম রাজিব, মাইটিভির সোহাগ রানা সোহেল, বাংলা ভিশন কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি আবুল খায়ের আশিক, মির্জা সাগর ও রাসেল সরকার প্রমূখ।
সাইফুল ইসলাম শান্ত দেশের বৃহৎ রানিং গ্রুপগুলোর সক্রিয় সদস্য এবং কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় ‘দেবীদ্বার রানার্স’ নামে ২ হাজার সদস্যের একটি রানিং গ্রুপ পরিচালনা করে আসছেন।
কিশোর বয়স থেকেই শান্ত’র স্বপ্ন ছিল তিনি একদিন পূরো বাংলাদেশটা ঘুরে দেখবেন। বন্ধুদের সাথে মাঝেমধ্যে টুরিস্ট স্পটগুলোতে ঘুরতে গেলেও শান্তদের দেশ ভ্রমণের ইচ্ছাটা আরো তীব্র হয় করোনা মহামারিতে ঘরেবন্দী জীবন কাটানোর সময়। সবার মতো সে সময় তিনিও ভাবতে থাকলেন কী তাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষিত করে? তখন তিনি ছোটবেলার কথা মনে করলেন, যখন বইয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিখ্যাত স্থানের নাম পড়তে পড়তে ভাবতেন একদিন সারাদেশে ঘুরে বেড়াবেন। তারপর যে ভাবনা সেই কাজ, বেরিয়ে পড়লেন দেশ ঘুরার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে।
সংবর্ধনার ভেতরে দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকা পড়ার ফাঁকে ফাঁকে এ প্রতিবেদককে সাইফুল ইসলাম শান্ত বললেন, ‘বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের কথা এতোদিন বইয়ে, গানে, কবিতায় শুনতাম কিন্তু নিজ জেলা কুমিল্লা ও ঢাকার বাইরে তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। প্রথমে আমার উদ্দেশ্য ছিল বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলো ঘুরে দেখবো। যখন আমি কোন একটা জেলায় যেতাম-তখন সেখানকার স্থানীয় মানুষের সাথে মেশার চেষ্টা করতাম এবং সবসময় নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করতাম। ঐ অঞ্চলের মানুষদের জীবন-যাপন, সংস্কৃতি, বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতাম। আমি বলবো ভ্রমণ আমাকে শুধু আনন্দিত করে না, এর মাধ্যমে আমি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছি।’
'প্রথমদিকে আমি যখন আমার ভ্রমণ পরিকল্পনার কথা সবাইকে বলি, পরিবার ও বন্ধুদের অনেকেই মনে করতে থাকে এটা টাকা নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না। পরিবার থেকে বলা হতো- এসব চিন্তা বাদ দিয়ে আমি যেন পড়াশোনা ও চাকরী পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলাম, তাই নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে নিজের জমানো বৃত্তির টাকা নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। তারপর ধীরে ধীরে পরিবার বুঝতে পারে আমি আমার দেশকে জানতে চাচ্ছি এবং এর মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে ও মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছি। তখন পরিবার থেকেও আমাকে সাপোর্ট দিতে শুরু করে।’
সাইফুল ইসলাম শান্ত একাই দেশের বেশিরভাগ জেলায় ও বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন। নির্দিষ্ট কিছু টুরিস্ট স্পটে যেমন কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, সিলেট, সেন্টমার্টিনের মতো জায়গাগুলোতে বন্ধুদের সাথে ঘুরলেও, তার সেই বন্ধুরা অন্য জেলাগুলোতে যেতে চায়নি। আমরা যেমন ছুটিতে বা বেড়াতে যাবার সময় এই জায়গাগুলোকেই ঘুরার জন্য বেছে নেই। সবার মতো তার বন্ধুরাও এই জায়গাগুলোর বাইরে যাওয়ার মতো আগ্রহ পায়নি। তাই অন্য জেলাগুলোতে বায়েজিদ একাই ঘুরে বেড়িয়েছে। তার ঘুরার সঙ্গী তখন কাঁধের ব্যাগ আর হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি। সেটি দিয়েই সে যেখানে যেত সেখানকার অপরূপ সৌন্দর্যের ছবি তুলে রাখতো।
প্রচলিত, পরিচিত কিংবা অপরিচিত অনেক জায়গায় ঘুরেছেন বায়েজিদ। তার কাছে যে স্থানগুলো ভালোলাগার শীর্ষে ছিল সেগুলো হলো-বান্দরবান, ভোলার কুকরি মুকরি চর, সুনামগঞ্জ থেকে জামালপুর বর্ডার সড়ক, নীলাদ্রি লেক, টাঙ্গুয়ার হাওর, নিঝুম দ্বীপ, মনপুরা দ্বীপ।
শান্ত বলেন, ‘বান্দরবানের প্রকৃতি ও পরিবেশ এতোটা স্নিগ্ধ ও মনোরম যে কাউকে আকর্ষিত করবে। এবং বর্ষায় টাঙগুয়ার হাওরের সৌন্দর্য অপরূপ। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল ঘুরে ভালো লেগেছে। কিছু কিছু মধ্যাঞ্চল যেমন মাদারীপুর, শরীয়তপুর এই জেলাগুলোতে তেমন কোন আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান ছিল না, তবে মানুষের সাথে কথা বলে ভালো লেগেছে। আমার অভিজ্ঞতায় এযাবত যতোগুলো জেলায় গিয়েছি, সেখানকার স্থানীয় মানুষেরা খুব আন্তরিক ছিল এবং বিভিন্নভাবে তারা আমাকে সাহায্য করেছে।’
বিয়ার গ্রিলসের অ্যাডভেঞ্চারাস ভ্রমণ ও ঘুরে বেড়ানো দেখে শান্ত অনুপ্রাণিত হতো। তাই নিজেও অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে চলে যেতেন পাহাড়ি এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তিনি জানান, ‘নাফাকুম- আফিয়াকুম আমি পুরো রাস্তাটা হেঁটে পাড়ি দিয়েছি। ৬ দিনের এই ভ্রমণে ৪ দিন আমাকে অনবরত শুধু হাঁটতে হয়েছিল। আর সেখানে কোনরকম ইন্টারনেট ও বৈদ্যুতিক সুবিধা না থাকায় আমি বলতে গেলে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। এখানে যেতে যাত্রাপথে আমি ৩টা আদিবাসী পাড়ায় থেকেছিলাম। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর লোকজন বেশ আন্তরিক ও সরল প্রকৃতির। ভাষা না বুঝলেও তাদের সাথে খুব ভালো সখ্যতা গড়ে উঠেছিল এবং তারাও আমাকে আপন করে নিয়েছিল।’
‘তারপর ভোলাতে চর কুকরি-মুকরিতে খোলা আকাশের নিচে চরের বুকে তাঁবু করে থাকাটা ছিল দারুণ অনুভূতি। সেখান থেকে ৩ ঘণ্টা পাড়ি দিয়ে সাগরের মাঝখানে ঢালদ্বীপ নামের একটা ছোট দ্বীপ রয়েছে। চারিদিকে সাগর তার মাঝের ছোট্ট দ্বীপে তাঁবু টানিয়ে ছিলাম। মানুষজন এইরকম জায়গাগুলোতে তেমন ঘুরতে যায় না। আবার এসব জায়গায় যাতায়াত ও থাকাটা খুব সহজ ব্যাপার নয় এবং এখানে থাকার মতো ঝা-চকচকে সুবিধাসম্বলিত হোটেল নেই। কিন্তু আমার কাছে এইরকম অ্যাডভেঞ্চারাস ভ্রমণ করতে অন্যরকম ভালো লাগে এবং আকর্ষণ বোধ করি। সাগরের মাঝে দ্বীপে ,পাহাড়ের চূঁড়ায় কাটানো দিনগুলোর কথা এখন মনে করলে একরকম শিহরণ অনুভব করি। আর তখন কাটানো সেই দিনগুলোর কথা ভাবতে থাকি নতুন উদ্যমে নতুন কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে।’
ভ্রমণ নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শান্ত বলেন, ‘ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক ভালো ঘটনা যেমন আছে, আবার কিছু খারাপ ঘটনারও সম্মুখীন হয়েছি। খারাপ ঘটনাগুলো অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে। আবার কোথাও কোথাও টুরিস্ট পুলিশের খামখেয়ালির জন্য কিছু অসাধু লোকজন সিন্ডিকেট করে ঘুরতে আসা লোকজনের থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো।’
কোন সাহায্যকারী সংস্থা এগিয়ে আসলে সাইফুল ইসলাম শান্ত এখন বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সমগ্র বিশ্বভ্রমণ করে রেকর্ড গড়তে চান তিনি। সেই লক্ষ্যে সব প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছেন শান্ত। তিনি বলেন,‘প্রথমে আমি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ঘুরার পরিকল্পনা করেছি। তারপর ধীরে ধীরে অন্য মহাদেশগুলো ঘুরবো। বাংলাদেশ ভ্রমণে বের হয়ে আমি জানতে পেরেছি আমার দেশ কতো সুন্দর আর মায়া দিয়ে ঘেরা। দেশকে জানতে হলে তাই দেশটা ঘুরে দেখতে হবে, মানুষের সান্নিধ্যে যেতে হবে।’
সাইফুলের এই হাঁটার উদ্দেশ্য শুধু রেকর্ড করা নয়; তিনটি বিষয়ে তিনি সচেতনতা তৈরির কাজ করছেন। জীবন বাঁচাতে রক্তদান, প্লাস্টিক ব্যবহারে সতর্কতা এবং বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলে মানুষকে সচেতন করে চলেছেন হেঁটে হেঁটে। ‘ইচ্ছা ছিল স্কুল-কলেজে গিয়ে এসব নিয়ে কথা বলব। কিন্তু করোনার কারণে তখন স্কুল-কলেজ বন্ধছিলো। তাই বিভিন্ন ক্লাবে যাই, জনসমাগমের জায়গায় গিয়ে কথা বলি। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বিপদ আপদে পড়িনি। যেখানেই যাই, সবাই খুব আন্তরিক ব্যবহার করেন।’
প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৪২ কিলোমিটার হাঁটেন এবং সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্তও তিনি ঁেহটেছেন। তিনটি বিষয়ে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সাইফুল আরেকটি কাজ করেছেন প্রতিটি জেলার মাটিও সংগ্রহ করেছেন। সাইফুলের এই অ্যাডভেঞ্চারে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চা। হাইকার সোসাইটি অব বাংলাদেশ তাঁর এ পথযাত্রা মনিটরে সহায়তা করছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন