মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরী, কুমিল্লা : কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে অপহৃত শিশু আবদুল্লাহ আল মামুন (৬) কে উদ্ধারসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণের সাথে জড়িত আবুল কাশেম ও মোসা সামিয়া নামে দুই অপহরণকারীকেও আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা একে অপরের স্বামীস্ত্রী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আটক আবুল কাশেম (৪৫) কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার প্রজারকান্দা গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দীনের ছেলে এবং অন্য অপহরণকারী হলেন তারই স্ত্রী মোসা- সামিয়া আক্তার (৩০)। তারা উভয়েই একই এলাকার বাসিন্দা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিরামহীন অভিযান পরিচালনা করে দুইজনকে আটক করে পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মতে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ থানা এলাকা হতে অপহৃতা শিশুটিকে উদ্ধার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানাধীন গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের ছেপাড়া গ্রামের ইদিল সরকার বাড়ীর মৃত রৌশন আলীর ছেলে আবদুল ছামাদ(৬৩) এর পঞ্চম সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুন(৬) বাড়ি হতে নিখোঁজ হয়। এ সংক্রান্তে দেবীদ্বার থানায় একটি নিখোঁজ জিডি হয়।
জিডি অভিযোগের তদন্তে জানা যায় যে, আবদুল ছামাদ(৬৩) এর বাড়িতে কৃষি কাজ করার জন্য শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আবুল বাশার ছেলেটিকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। তারপর সে মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে ওই দিন থেকেই দেবীদ্বার থানা পুলিশের একটি দল অপহৃতাকে উদ্ধারের উদ্দেশ্যে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বিরামহীন অভিযান পরিচালনা করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণের সাথে জড়িত দুই অপহরণকারীকে আটক করে। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মতে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ থানা এলাকা হতে অপহৃত আবদুল্লাহ আল মামুন (৬) কে নিখোঁজের দুই দিন পর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এই ঘটনায় অপহৃতার বাবা আবদুল ছামাদ বাদী হয়ে দেবীদ্বার থানায় ৫ জনকে আসামীকে করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৮/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দেবীদ্বার থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-১৯/০২/২০২৩।
সোমবার রাতে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশু শিক্ষার্থী অপহরণকারী দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং প্রধান অপহরণকারীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন