আটকরা হলেন- উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মো. হেলাল, মোহাম্মদপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের শামসুল হক দর্জির ছেলে নজরুল ইসলাম, মনির হোসেনের ছেলে মো. আকাশ, কলাকান্দা ইউনিয়নের হানিরপাড় গ্রামের আব্দুল হালিম সরকারের ছেলে মো. নিরব। এ সময় তাদের কাছে থাকা দুটি ব্যাগ তল্লাশি করে দেশীয় অস্ত্র (চাইনিজ কুড়াল) উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গজরা ইউনিয়নে ডুবগী গ্রামে পাম্প হাউজের সেচ ক্যানেলের খালের জায়গায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সেখানে গিয়ে তারা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তী সময়ে তাদের স্থানীয় জনগণ আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
গজরা ইউনিয়নের হাজী আবুল হোসেন, মামুন চিশতী, সিপনসহ কয়েকজন জানান, এই খালে মাটি খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড টেন্ডার দিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী সবাই মিলে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে এখান থেকে বালু উত্তোলন করে মাদরাসা, মসজিদ ও কবরস্থানে জায়গায় ভরাট করছি। এখানে এসে তারা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের হুমকি দেন। তখন আমরা এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেই।
ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি একেএম নাজমুল হাসান, খালেদ মাহমুদ ও তামিম ইসলাম বলেন, কেউ যদি সমন্বয়কের পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে তাদের দায়ভার কেউ নেবে না। আইন সবার জন্য সমান। আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে কেউ অপরাধ করলে তাকে অপরাধের সাজা ভোগ করতে হবে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, খবর পেয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন