মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকা অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, সাওঘাট এলাকায় বিসমিল্লাহ আড়তের দখল নিয়ে সেলিম প্রধান ও মজিবুরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। কয়েকদিন পূর্বে উভয় পক্ষের লোকজনকে ডেকে আড়ত থেকে কোন প্রকার টাকা তুলতে নিষেধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আজ বেলা সাড়ে ১১ টারদিকে মজিবুরের লোকজন সেলিম প্রধানের অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সেলিমের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, ককটেল ও গুলিবর্ষন করে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে স্বপন, রাজু, আলামীন, বাবু, রফিক, সাগর গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। এসময় ১০ টি মোটরসাইকেল,১ টি প্রাইভেটকার অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
হামলার বিষয়ে জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য দিপু ভুঁইয়ার (মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু) নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এ ছাড়া ৫০টি মোটরসাইকেল ও গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এবং লুটপাট করেছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসেছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন,একটি পাইকারী আড়ৎ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধের খবর তিনি শুনেছেন। যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন