জানা যায়, মো. সাইফুল ইসলাম (২৬) এক দরিদ্র পরিবারের ওই গ্রামেরই সন্তান। তিন ভাইবোনের মধ্যে সাইফুল দ্বিতীয় এবং তার একটি আড়াই বছরের ফুটফুটে কন্যাসন্তানও রয়েছে। কিন্তু এক বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন তিনি। তার চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হতো, যা সামলানো ছিল পরিবারের জন্য প্রায় অসম্ভব। তবে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তার আত্মীয়স্বজন ও মেঘনাবাসী। সকলের সহযোগিতায় সাইফুল এত দিন চিকিৎসা চালিয়ে আসছেন। কিন্তু তার কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া এখন আর কোনো পথ নেই। সন্তানের জীবন বাঁচাতে সাইফুলের মা মোসা- খুকি আক্তার এগিয়ে এসেছেন। তিনি তার ছেলেকে নিজের একটি কিডনী দান করতে রাজি হয়েছেন। এই সাহসিক ও ভালোবাসার কাহিনি হৃদয় ছুঁয়ে দিয়েছে পুরো মেঘনা অঞ্চলের মানুষকে।
আগামী বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামলীর সিকেডি হাসপাতালে হবে সাইফুলের কিডনী প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার। তবে এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে মা-ছেলে দুজনই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, অস্ত্রোপচারের সময় প্রয়োজন হবে প্রায় পাঁচ ব্যাগ রক্ত। সাইফুলের রক্তের গ্রুপ ‘ও পজেটিভ’। মায়ের ভালোবাসা আর মেঘনাবাসীর সহযোগীতা যেন সাইফুলের জীবনে নতুন আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে। তবে অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া এবং সাইফুলের দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার বড় ভাই আল আমীন।
মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও মেঘনাবাসীর মানবিক উদ্যোগ একত্রে সাইফুলের জীবনে নতুন স্বপ্ন বুনে দিতে পারে। এই অনন্য আত্মত্যাগ এবং সহযোগীতা সবার হৃদয়ে একটি চিরস্থায়ী দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
অস্ত্রোপচারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্ত এবং আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। যারা সাহায্য করতে চান, তারা যোগাযোগ করতে পারেন সাইফুলের বড় ভাই আল আমীনের সঙ্গে। যোগাযোগ: আল আমীন, মোবাইল নম্বর ০১৭৩২৭৮৪০৪২।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন