মামলায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণির বিশিষ্টজনদের বিপুল সংখ্যক মানুষকে আসামি করা হয়েছে
শিক্ষক: ১৩ জন
সাংবাদিক: ১৫ জন
অভিনয়শিল্পী: ১৪ জন
বাদ পড়লেন তিশা-ফারুকী
বাদী এম এ হাশেম রাজুর দাবি, "এই হামলার পেছনে নেপথ্যে যারা ছিল, তাদের অন্যতম নুসরাত ইমরোজ তিশা। কিন্তু তিনি আসামি হননি কারণ তার স্বামী ফারুকী বর্তমানে সরকারের উপদেষ্টা।"
সরকারের ঘনিষ্ঠ এই দম্পতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা উঠেছে, যেখানে বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিকে মামলায় টেনে আনা হলেও তাদের নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
মামলায় যাদের নাম রয়েছে
অভিনয়শিল্পী: রিয়াজ, ফেরদৌস, চঞ্চল চৌধুরী, মামুনুর রশীদ, মেহের আফরোজ শাওন, অরুণা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, শমী কায়সার, সাজু খাদেম, ভাবনা, সোহানা সাবা, রোকেয়া প্রাচী ও জায়েদ খান।
সাংবাদিক: কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, এটিএন নিউজের মুন্নী সাহা সহ আরও ১৩ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি প্রথম সারির গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
শিক্ষক: ড. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মিজানুর রহমানসহ ১৩ জন।
এছাড়া ইমরান এইচ সরকার ও লাকী আক্তারের নামও আসামির তালিকায় রয়েছে।
মামলার প্রেক্ষাপট : ৪ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মিছিল শাহবাগে পৌঁছালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। বাদী হাশেম রাজুর ডান চোখ ছররা গুলিতে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মামলায় গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ, মারধরসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন : এতো বিশিষ্টজনকে আসামি করে মামলা হলেও, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় তিশা-ফারুকীকে বাদ দেওয়া নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, “এই মামলা কি আদৌ নিরপেক্ষ?”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন