শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন। জানা যায়, গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখা থেকে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌহিদ এলাহির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান আবু তাহের নিজের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড অন্যের কাছে হস্তান্তর করেন এবং রোহিঙ্গা নাগরিকদের অনুকূলে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করেন—যা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। সচেতনতার অভাব এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১১ জুন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিয়েতনাম যাওয়ার সময় হুমায়রা ও শারমিন আক্তার নামের দুই রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে জানা যায়, চিওড়া ইউনিয়নের ডিমাতলী গ্রামের কাজী শামছুল হকের ছেলে কাজী খবির উদ্দিন ওই দুই নারীর পিতা সেজে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মসনদ তৈরি করেন। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পালানোর চেষ্টা চলছিল।
ঘটনার পর ১৫ জুন কুমিল্লা জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) উপপরিদর্শক ইমাম হোসেন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেন। ২৭ জুন পুলিশ হুমায়রা ও শারমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন