তারা সাংবাদিকতা করছিলেন জনস্বার্থে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু আজ তারা নিজেরাই ন্যায়বিচারের জন্য লড়ছেন।
ফাহিমা বেগম প্রিয়া
: 'ভয় পাই, তবু লিখি'
ফাহিমা বেগম প্রিয়া মুরাদনগর তথা কুমিল্লা জেলা জুড়ে একজন সাহসী নারী সাংবাদিক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি স্থানীয় এক ক্ষমতাধর নেতার দুর্নীতির তথ্যসহ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ফলাফল?
পরের দিন থেকেই সামাজিকভাবে টার্গেট করা হয় তাঁকে।
ঘটনার বিবরণ: বাসার সামনে একদল লোক তাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাঁর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে ছড়ানো হয়। মোবাইল নম্বর বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে "উপদ্রব" করা হয়।
থানায় অভিযোগ জানানো হলেও এখনো কোনো অভিযুক্তের নামেও মামলা হয়নি।
প্রিয়া বলেন, "আমি শুধু আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু এখন আমার পরিবারও আতঙ্কে থাকে।"
শরিফুল আলম চৌধুরী: রিপোর্টিং করতে গিয়ে হাসপাতালে মার্চ মাসে মুরাদনগরে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরী।
একটি সরকারি জমি দখলের চেষ্টার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার ওপর চড়াও হয়।
ঘটনার বিবরণ: শরীরে লাঠির আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
ক্যামেরা, নোটপ্যাড ও রেকর্ডার ছিনিয়ে নেয়া হয়।
থানায় অভিযোগ দিয়েও এখনো তদন্ত দৃশ্যমান নয়।
শরিফুল বলেন, "এটা কেবল আমার ওপর নয়, সাংবাদিকতা পেশার ওপরই আঘাত।"
দায়ি কে?
এই দুই সাংবাদিকের নির্যাতনের পেছনে স্পষ্ট রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও প্রশাসনের ভূমিকা নীরব। স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন,
“প্রভাবশালীদের নাম আসলেই পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এটা নতুন কিছু না।”
বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসে প্রশ্ন: এই দুই সাংবাদিকের পাশে কি দাঁড়াবে কেউ?
নাকি ‘মুক্ত গণমাধ্যম’ দিবসটি কেবল আনুষ্ঠানিকতা হয়েই থাকবে?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন