সভায় জেলা প্রশাসক জানান, টাউনহল মার্কেটের আয় পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে একটি বিশেষ মহলের হাতে চলে যেতো। তবে ৫ আগস্ট পরবর্তী সরকারের সময় থেকে মার্কেটের আয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে প্রতি মাসে ৬ লক্ষাধিক টাকা সরকারি হিসাবে জমা হচ্ছে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে কুমিল্লা শহরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, "জুলাই বিপ্লব" পরবর্তী সময়ে কুমিল্লা ক্লাবের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে প্রকৃত রূপ ফিরিয়ে আনতে এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উজিরদিঘী ভরাটের প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, “রেকর্ডীয় মালিক আবেদন নিয়ে এলে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে উদ্যোগ নিয়ে ভরাট রোধ করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, সদর দক্ষিণে এক মালিকানাধীন পুকুর রাতের আঁধারে ভরাট করা হলে পরিবেশ আইনে মামলা ও পুকুর পুনঃখননের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া ফসলি জমির মাটি কাটায় ২৩ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, “কুমিল্লায় চিত্তবিনোদনের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। পুরাতন বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা বন্ধ হয়ে আছে।” তিনি জানান, এই সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আধুনিক ডিসি পার্ক নির্মাণে ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নগরীর যানজট সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কুমিল্লা শহরে ৪০ হাজারের বেশি অটোরিকশা চলাচল করছে, যার অনেকগুলোই অবৈধ। যানজট নিরসনে অটোরিকশাগুলোকে নির্দিষ্ট আইডি কার্ড ও ড্রেস কোডের আওতায় এনে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে এবং অবশিষ্ট চালকদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও পরিবহন ব্যবস্থার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “কুমিল্লা অংশে মহাসড়কের পাশে ছোট-বড় ১২টি বাজার রয়েছে, যার কারণে যানজট তীব্র হয়। ঈদ উপলক্ষে যানজট মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছেন।”
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়াসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন