এই দৌলতপুরই সেই পবিত্র ভূমি, যেখানে নজরুল প্রেমে পড়েন সৈয়দা নার্গিস আশা খানের। আলী আকবর খাঁর অতিথি হয়ে এসেছিলেন কবি, আর ফিরে গিয়েছিলেন ভালোবাসার গভীরতম স্মৃতি বুকে নিয়ে। সেই খাঁ বাড়ির পুকুরে একদিন সাঁতার কেটেছিলেন নজরুল, আর আজও সেই জল যেন জেগে আছে তাঁর ছায়া নিয়ে।
৬ মে, মঙ্গলবার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় ঘোষণা করা হয় এ আবেগঘন সিদ্ধান্ত। প্রতিপাদ্যও তাই যুগোপযোগী ও দ্রোহে উদ্দীপ্ত—‘ কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’। যেন সময়ের আহ্বানে আবারও জেগে উঠছে বিদ্রোহীর কবিতা।
উদ্বোধনী আয়োজনে অংশ নেবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, স্মারক বক্তা থাকবেন প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। মুরাদনগরের বাতাস ভরে উঠবে কবিতায়, গানে, নাটকে আর বিদ্রোহের অমোঘ বাণীতে। ছাপানো হবে ৬০০ স্মরণিকা, সাঁটানো হবে ২০ হাজার পোস্টার—একটি জাতির শ্রদ্ধা জানানো তার আত্মার কবিকে।
ত্রিশাল, তেওতা, কার্পাসডাঙা, চট্টগ্রাম—সবখানেই চলবে আলোচনা, মেলা, স্মরণ। কিন্তু দৌলতপুরে আয়োজনটি যেন এক অন্যরকম প্রত্যাবর্তন—প্রেম, দ্রোহ ও ইতিহাসের মিলনমেলায়।
এই আয়োজন শুধু উৎসব নয়, এটি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে নজরুলের প্রাণের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস—"আমি চির বিদ্রোহী বীর—বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি গান গাহিয়া আমারি সুরে।"
এই আয়োজন, এই দৌলতপুর—এ যেন কবির কাছে ফেরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন