এরই মধ্যে রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও হেনস্তা করে থানায় সোপর্দ করার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম বলেন, "মব ভায়োলেন্সকে যেন নীরবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। সুবর্ণা মুস্তাফা রাস্তায় গুলি চালাবে—এই চিন্তাই অবাস্তব।"
মামলার আসামিদের তালিকায় আরও রয়েছেন—অভিনেতা আজিজুল হাকিম, জায়েদ খান, সাইমন সাদিক, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি প্রমুখ। অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে সহিংসতায় অংশ নিয়েছেন তারা।
একই ঘটনায় ভুয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং ব্লাস্ট। ২৩ বিশিষ্ট নাগরিক এক বিবৃতিতে এসব মামলা তদন্ত করে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, ‘এ ধরনের মামলা স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ধ্বংসের চেষ্টা।’
ভাটারা থানার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জন আসামি রয়েছে। এত বড় তালিকা যাচাই করে গ্রহণ করতে সময় লাগছে।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, "ভুয়া মামলা দিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে। মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়, তদন্তেই সিদ্ধান্ত হবে।"
সুধী সমাজের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মুজিব’ সিনেমায় অভিনয়ের কারণে অভিনেত্রী ইমরোজ তিশার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে কি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, “তিশার স্বামী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ায় তাঁর বিষয়ে কেউ মুখ খুলছে না।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন