শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেকের ৬ নম্বর রোডের ভাড়া বাসা থেকে লামিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দ্রুত সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ জসিমের চাচাতো ভাই কালাম হাওলাদার।
হতাশা আর অবিচারে ভেঙে পড়া এক জীবন
নিহতের মামা সাংবাদিকদের জানান, "আমি দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ ফোনে জানতে পারি আমার ভাগ্নি চলে গেছে। হাসপাতালে এসে দেখি, সব শেষ। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমার বোন স্বামী হারিয়েছে, এখন মেয়েও হারালো। ধর্ষকদের জামিন হয়ে গেছে। এখন আমরা কার কাছে বিচার চাইবো?"
ধর্ষণের বিচার চেয়ে শেষপর্যন্ত নিজের জীবন দিলো লামিয়া
গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে সাহস করে নিজেই থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জামিন পেয়ে ফের স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে থাকে। চিহ্নিত অপরাধীরাও রয়ে যায় আইনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, এই অব্যবস্থাপনা এবং বিচারহীনতার বাস্তবতায় মানসিকভাবে চরমভাবে ভেঙে পড়েছিল লামিয়া। শেষ পর্যন্ত অসহায়ের মতো নিজেকেই শাস্তি দিলো সে — নিজের জীবন কেড়ে নিয়ে।
লাল বদরদের মুক্তি, শহীদ কন্যার মৃত্যু
যে দেশে ধর্ষকেরা জামিনে ঘুরে বেড়ায়, আর ন্যায়বিচার চাইতে গিয়ে শহীদ পরিবারের সন্তান আত্মাহুতি দেয়, সে দেশ কাদের স্বাধীন? প্রশ্ন তুলেছেন শোকাহত স্বজনরা।
তাদের আহাজারি—"আমরা কার কাছে যাবো? কার কাছে ন্যায় চাইবো?"
শোক আর ক্ষোভে উত্তাল পরিবার ও এলাকাবাসী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন